বুধবার, ১ মে, ২০২৪

প্রিয় রূপা

রুপার খোঁপায় ফুল দিয়েছি, ভুল করিনি কিছু ;

সেই কথাটিই বলতে চাইছি,তাই নিয়েছি পিছু। 

রুপা রুপা একটু দাঁড়াও শোনো আমার কথা,

না শুনেই যদি চলে যাও, মনে পাবো ব্যাথা  ।

আমি কিন্তু অনেক্ষণই চলছি তোমার  পিছে। 

ডাকের সাড়াও দিলে না যে তুমি মিছে মিছে। 

রুপা রুপা তুমি কি রাগ করলে নাকি ?

রাগের কারণ ফুল না আমি, নাকি শুধুই মেকি ?

এই যে রুপা তোমার খোঁপা থাকবে কেন খালি ? 

চুলের খোঁপায় বেঁধে দেব জুঁই, চামেলি, বেলি। 

ফুলের সাথে  যদি থাকে তোমার কোনো আড়ি, 

তোমার পায়েই পড়িয়ে দেব কলমি ফুলের বেড়ি। 

রক্ত জবার পাপড়ি দিয়ে রাঙাবো দুই গালে ,

সুগন্ধিতে ছড়িয়ে দেব লিলির ফুলে ফুলে ।

এরপরেও যদি তুমি ফুল না ভালোবাসো,

ফুলের মতই মিষ্টি করে একটুখানি হাসো ।



Writer: Junaed Hussain Bipul 

প্রিয় সেঁজুতি


হতে পারো সেঁজুতি তুমি মেঘের মতই কালো, 

তাতে কি? তবুও তোমায় লাগে ভীষণ ভালো। 

মেঘলা দিনে, হিমেল হাওয়ায় শুধুই মনে আসে,

খোলা চুলে তুমি বুঝি বসলে আমার পাশে।  

সেই আবেশে বসে বসে ভাবি তোমার কথা,

এত  আবেগ তোমার প্রতি জানো তুমি কি তা ? 

ক্ষণেক্ষণে তোমার কথা শুধুই মনে পড়ে, 

তোমার প্রতি এত যে টান কেবলই তা বাড়ে। 

তোমার জন্য এই যে আমার প্রেমের শিহরণ, 

যদি বলি থাকবে সেটা পুরো আমরণ। 

সেই সুখেরই আবেশ আশায় দিন তো কেটেই যায়। 

রাত কাটে না, রাত কাটে না; কি করি উপায়? 

এসো এসো পাশে বসো আমার কথা শোনো, 

মান অভিমান ভূলে তুমি আমায় কাছে টানো। 

কিইবা হবে আমায় যদি ভালো একটু ভালো,

তোমার ভালোবাসায় হৃদয় আমার হবে টলোমলো ।

বলো বলো সেঁজুতি তুমি আমার কবে হবে ?

একটাই ইচ্ছা আমাদের কবর একই সাথে রবে ।


Writer: Junaed Hussain Bipul

প্রিয় অনামিকা

অনামিকা, একা একা কোথা যাও তুমি,

আজকে তো ক্লাস নেই যতটুকু জানি,

আজ  এত সেজেছো কোন সে কারনে ?

শুনেছি তো এসেছে কেউ তোমারি মনে । 

তুমি শুধু বলে যাও হাতে কেন ফোন, 

চোখের নিচে কালি আর আধো আধো ঘুম। 

সারাদিন ফেসবুক একটিভ থাকো,

কি জবাব দেবে তার তাই বুঝি নাতো। 

স্কুল পালাও নিয়মিত সেকথাও শুনি,

যার সাথে দেখা কর সে নাকি খুনি। 

বিড়ি আর সিগারেট তার নাকি পথ্য, 

মাঝে মাঝে গাঁজা খায় একথাও সত্য। 

আরো কিসব নেশা করে লোকে সেসব বলে,

তোমারে সে পেয়ে গেল কোন জাদুবলে। 

তুমি এত ভালো মেয়ে, এতদিন জানতাম। 

এত বড় অঘটন না যদি শুনতাম। 

পারিবারিক সম্মান যদি থাকে মনে। 

আর কখনো দেখা তুমি করোনা তার সনে। 

ফোনের বাহিরেও এক সুন্দর জীবন আছে,

অচিরেই চলে যাবে সেই জীবনের কাছে। 

আমার কথা যদি ভালো না লাগে, 

যেথা খুশি সেথা যাও তুমি সবার আগে।


Writer: Junaed Hussain Bipul

প্রিয় নূপুর


 নূপুর নূপুর তোমার দুপুর, কাটে এখন কেমন?

আগে যেমন ছিলে তুমি এখনও কি তেমন? 

রাত পোহালেই বেড়িয়ে যেতে, পান-সুপারির বাগে। 

সবার আগে কুড়াতে সব মালিক জাগার আগে। 

বাদলা দিনে ওড়না মাথায় চলতে আমের বনে, 

সেসব কথা এখন কি আছে তোমার মনে?  

প্রতি সন্ধ্যায় পড়তে বসতে বইখাতা সব খুলে ।

মাঠ পেরিয়ে একাই তুমি যেতে দূরের স্কুলে ।

ভালো ছাত্রী ছিলে নাকি শিক্ষকরা তাই বলে। 

তোমার বান্ধবী নবনিতা তার কথাও কিছু বলো ,

আধ-পাগলা এক লোকের সাথে সেও নাকি পালিয়েছিলো ।


নূপুর পরে পায়ে তুমি নিয়ে নূপুর নাম,

ছেলে পিটিয়ে কুড়িয়েছিলে ছিঃছিঃ আর বদনাম , 

কেউ শোনেনি তোমার কথা মারার কি'বা কারণ, 

তাইতো বাবা রাগ করে করল স্কুল যাওয়া বারণ। 

সেদিন থেকেই বন্দি হলে, সন্ধি করে ঘর, 

স্কুলও তোমায় ডাক দিলো না, বলল না তুই পড়। 

নূপুর তোমার বিয়ে না কোন গাঁয়ে হয়েছিল,

তোমার সকল উচ্ছ্বাস কি ওই স্বামীই কেড়ে নিল ? 

মারামারি মান অপমান এসবকিছু সয়ে, 

দু'বছর নাকি টিকেছিলে ওই সংসারে গিয়ে। 

একদিন তাই স্বামীর, হাত-পা ভেঙ্গে দিয়ে,

বাপের বাড়ি ফিরেছিলে  একরাশ দুঃখ নিয়ে। 

এরপর এক বুড়োর সাথে বিয়ে করে ঠিক,

তোমার বাবা মানসম্মানের বাঁচালো সব দিক।

সেই স্বামীটাও বাঁচে নি হায় এক বছরের বেশি। 

তার ছেলেরাও ফেরত দিল হায়, দিয়ে লাথি ঘুষি। 


নূপুর তোমার পায়ের নূপুর এখনো কি বাজে, 

নাকি সেসব তুলে রেখেছো, নাকি সেসব বাজে । 

তোমার গানের গলা শুনে স্তদ্ধ হত লোক,

মন্দীভূত হত যে হায় যত করুন শোক। 

তোমার বলা পঙতিগুলো এখনোও সবাই বলে, 

তোমার নাচের সাথে কি আর, এখনও তুলনা চলে। 

গায়ে তোমার চর্চা হত ভালো-মন্দ নিয়ে,

সব কি ধুয়ে মুচে গেল তোমায় বিয়ে দিয়ে। 


তোমার সাথে বলব কথা আজকে সারারাত, 

আজকে তুমি বলবে আমায় তোমার মনের সাধ। 

চুপটি করে শুনবো সেসব এসেছি দূর হতে,

আমায় তুমি বলো সেসব বসলাম মাদুর পেতে। 

আজকে তোমার হৃদয় বেদন উজাড় কর সব, 

রুক্ষমনের সূক্ষ্ম ব্যথা করুক না উৎসব। 

আজকে কোন কাজ নেই আমার,  আজকে ঘুমের ছুটি। 

তোমার দুঃখের কথা বল, দুঃখ হোক আজ মাটি।


Writer: Junaed Hussain Bipul